গার্লফ্রেন্ড হিসেবে একটি মেয়ের নানা সমস্যা থাকতে পারে যা তার প্রেমিকের কাছে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রে প্রেমিক আপনাকে তার বিরক্তি নাও প্রকাশ করতে পারেন বা আকার-ইঙ্গিতে তা বুঝিয়ে দিতে পারেন। তাই কারো প্রেমিকা হিসেবে আপনার এ বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন। এখানে দেখে নিন প্রেমিকার এমনই ৭টি বদভ্যাসের কথা।
১. সম্পর্কের সমস্যা নিয়ে অন্যের সঙ্গে কথা বলা :প্রেমিকাদের এ অভ্যাসটি সবচেয়ে অপছন্দ করেন ছেলেরা। দুজনের মাঝে কোনো সমস্যার উদয় হলেই তারা এ নিয়ে অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সবার সম্পর্কেই বাজে সময় আসে এবং দুজনকে নিজেদের মধ্যে তা সমাধান করে নিতে হয়। অথচ অনেক মেয়ে এ নিয়ে তার পরিচিতজনদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
২. আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে তা বারবার জানতে চাওয়া :বেশির ভাগ মেয়েরই তার প্রেমিকার প্রতি একটি প্রশ্নই থাকে। তা হলো, 'আমাকে কেমন দেখাচ্ছে?' একটু পর পর মোটা দেখাচ্ছে কিনা বা এটি মানিয়েছে কিনা ইত্যাদি। মূলত এসব প্রশ্নের সঠিক কোনো উত্তর নেই কোনো ছেলের কাছে। প্রশংসাসূচক জবাব না পাওয়া পর্যন্ত এসব প্রশ্ন করতে থাকা ব্যাপক বিরক্তির উদ্রেক করে প্রেমিকদের।
৩. শুধু বন্ধুদের বিষয়ে আলাপ করা :প্রেমিকদের কাছে আরেকটি বিরক্তির বিষয় হলো তার প্রেমিকার বন্ধুমহলের আলাপ শোনা। প্রেমিকারা সুযোগ পেলেই তার বন্ধুদের আলাপ জুড়ে দেন। তার বন্ধুদের নিয়ে জানতে চাওয়ার আগ্রহ থাকে, তবে এমন নয় তা প্রতিদিন বিস্তারিত শুনতে হবে।
৪. প্রেমিকার একাকিত্বে সুযোগ না দেওয়া :মেয়েরা সাধারণত একা থাকতে পছন্দ করেন না। কিন্তু একটি ছেলে একা থাকার প্রয়োজন অনুভব করেন। সে সুযোগটি একেবারেই না দিতে চাওয়া বেশ বিরক্তিকর। এ বিষয় বোঝা উচিত প্রতিটি মেয়েকে।
৫. যখন আপনি তার আবেগ বুঝবেন না :প্রেমিকারা তার আবেগ না বুঝলে ব্যাপক কষ্ট পান ছেলেরা। না বোঝার সামর্থ্য থাকলে তা নিতে বিরক্ত বোধ করেন তারা। তাদের প্রিয় কোনো কাজ বা সময় কাটানোর মুহূর্ত প্রেমিকারা না বুঝলে তা আসলেই বিরক্তিকরই বটে।
৬. প্রেমিককে বদলানোর চেষ্টা করে যাওয়া :মেয়েদের অন্যতম একটি কাজ হয় তার প্রেমিককে বদলে ফেলার কর্মযজ্ঞ হাতে নেওয়া। এর অর্থ কী ছেলেটি তার মনের মতো নয়? আর মানুষকে আসলে বদলানো যায় না। তাই ছেলেটির কোনো বদভ্যাস থাকলে তা দূর করার চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু প্রতিনিয়ত তার ব্যক্তিত্বকে বদলে ফেলার চেষ্টা যন্ত্রণাদায়ক।
৭. প্রেমিককে মনোবিজ্ঞানীর ভূমিকায় চাওয়া :সব মেয়েরাই চান, তাদের প্রেকিকরা এক একজন মনোবিজ্ঞানী হয়ে উঠুক। তাদের মনের গোপন চাওয়া যেন তারা নিমিষে বুঝে যান। মনের একটি কথা না বলে মেয়েরা চান, প্রেমিক তা বুঝে নিক। কিন্তু এটা কী আদৌ সম্ভব। সবাই কি সবার মনের কথা সহজে বুঝে যান? আবার ছেলেটি তা বুঝলেও মেয়েদের রাগ করা রীতিমতো হতাশাজনক। তাই প্রতিটি মেয়ের এ অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত।